‘পল্লিজননী' কবিতাটি কবি জসীমউদদীনের রাখালী কাব্য থেকে সংকলন করা হয়েছে । মায়ের মতো মমতাময়ী আর কেউ নেই । রুগ্ণ পুত্রের শিয়রে বসে রাত জাগা এক মায়ের মনঃকষ্ট, পুত্রের চঞ্চলতা স্মরণ আর দারিদ্র্যের কারণে তাকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও আনন্দ-আয়োজন করতে না পারার ব্যর্থতা এ কবিতায় উল্লেখ করা হয়েছে । পুত্রের শিয়রে নিবুনিবু প্রদীপ, চারিদিকে মশার অত্যাচার, বেড়ার ফাঁক গলে আসে রাতের শীত । রুগ্ণ পুত্রের ঘুম স্বাভাবিকভাবেই আসে না । মা পুত্রকে আদর করে, তার রোগ ভালো করে দেবার জন্য দরগায় মানত করে । দুরন্ত ছেলে ভালো হয়েই খেলতে যাবে এবং তখন মা তাকে কিছু বলতে পারবে না, এমন অঙ্গীকার সে মায়ের কাছ থেকে আদায় করে নেয় । আবদারমুখো পুত্রের দিকে চেয়ে গ্রামীণ মায়ের মনে অনেক কথা জাগে । তার সামর্থ্য নেই বলে রোগীর ঔষধ, পথ্য কিছুই জোটাতে পারেনি । রুগ্ণ পরিবেশে রোগী সামনে নিয়ে এক পল্লিমায়ের মনে পুত্র হারানোর শঙ্কা জেগে ওঠে । অপত্যস্নেহের অনিবার্য আকর্ষণই এ কবিতার মূলকথা ।
আরও দেখুন...